বড়পীর দস্তগীর গাউসুল আজম হযরত সায়্যিদ আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)–এর পবিত্র উফাত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ মাহফিলে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব অধ্যাপক মাওলানা মুশাহীদ আহমদ কামালী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আল–ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান চৌধুরী শিঙ্গাইরকুড়ী, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল লতিফ ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী এবং জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা ইমাদ উদ্দীন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আল–ইসলাহ’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কুতবুল আলম, নবীগঞ্জ কদুরবাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাফিজ মাওলানা ফারুক আহমদ, থানাবাজার লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শিহাব উদ্দীন, হাজী তৈয়ব আলী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাফিজ মাওলানা জামিল আহমদ, উপজেলা আল–ইসলাহ’র সহ–সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফদ্বলুর রহমান এবং জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জুবায়ের আহমদ প্রমুখ।
মাহফিলে প্রধান অতিথি অধ্যাপক মাওলানা মুশাহীদ আহমদ কামালী বলেন, “ বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী এমন এক যুগে আবির্ভূত হন, যখন মুসলিম শিক্ষা ও চিন্তার ভুবন বিভ্রান্তির ঘন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তখনই তিনি উম্মতের দিশারি হয়ে ইসলামের নবজাগরণ ঘটান।”
তিনি আরও বলেন, বড়পীরের তাফসীর ও অসংখ্য কিতাব যুগে যুগে পথহারা মুসলমানদের সঠিক দিশা দিয়েছে। তার জ্ঞানের গভীরতা ও ভাষার মাধুর্য মানব সমাজকে ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছে। আজ ফিলিস্তিন ও লেবাননসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদি–আমেরিকান ষড়যন্ত্রের মুখে মুসলমানদের উচিত বড়পীর (রাহ.)–এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
মাহফিল শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বড়পীরের ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে সমাজসেবী আব্দুল মুকিত চৌধুরীর পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে তাবারুক পরিবেশন করা হয়।
