ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম, গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল আস্থা, প্রশাসনিক দক্ষতা, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধে দৃঢ় বিশ্বাস এবং নারী উন্নয়নের অগ্রপথিক হিসেবে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন গোটা জাতির আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার ঠিকানা। দল-মত নির্বিশেষে তিনি বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি, জাতীয় ঐক্য ও সংহতির প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন।
দেশ ও মানুষের স্বার্থে তিনি জীবনে অগণিত জুলুম-নিপীড়ন ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দীর্ঘ কারাবন্দি জীবন, নিঃসঙ্গতা ও বার্ধক্যের কষ্ট সত্ত্বেও কখনো দেশবাসীর প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা থেকে সরে যাননি। দলীয় নেত্রী থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সকল বাংলাদেশপন্থী মানুষের নেত্রী। তাঁর ইন্তেকালে আজ গোটা জাতি গভীর শোকে মুহ্যমান।
এক শোকবার্তায় জকিগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুনিরুল ইসলাম রাজন বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর এক গৃহবধু থেকে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে তাঁর নেতৃত্ব ছিল আপসহীন ও দৃঢ়চেতা, যা তাঁকে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রীর মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী পরিবারসহ সমগ্র জাতি আজ শোকাহত। মহান আল্লাহ যেন আমাদের এ শোক সইবার শক্তি দান করেন এবং তাঁর আদর্শকে আগামীর প্রজন্মের মাঝে বহন করার তাওফিক দেন। অসীমের পথে আপনার এই মহাযাত্রা শান্তিময় হোক দেশমাতা বাংলাদেশ আপনাকে অনন্তকাল স্মরণ রাখবে। মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন। আমিন।
