প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন একই প্যানেলের মহিউদ্দীন খান।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪,০৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান পান ৫,৭০৮ ভোট। জিএস পদে এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০,৭৯৪ ভোট,তার প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর বারী হামিম পেয়েছেন ৫,২৮৩ ভোট। এছাড়াও জিএস পদে মহিউদ্দীন খান বিজয়ী হয়ে পেয়েছেন ১১,৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৫,০৬৪ ভোট।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে এই ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৩৯,৮৭৪ জন ভোটারের মধ্যে ছাত্র ভোটার ছিলেন ২০,৯১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ছিলেন ১৮,৯৫৯ জন। নির্বাচনে ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ভিপি পদে লড়েছেন ৪৫ জন এবং জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৯ জন প্রার্থী। ভোটগ্রহণ হয় ওএমআর ফরমের ৬ পাতার ব্যালটে, যেখানে প্রতিটি ভোটারকে দিতে হয়েছে মোট ৪১টি ভোট।
ফলাফল ঘোষণার পর ছাত্রদলসহ একাধিক প্যানেলের প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তাদের দাবি, প্রশাসনের সহযোগিতায় শিবির সমর্থিত জোট ভোটে জয় পেয়েছে। এ কারণে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিমসহ,স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমাও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
