সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও হাঁটুসমান কাদা জমে আছে। বৃষ্টির মৌসুমে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এতে জরুরি সেবার গাড়ি প্রবেশ করতে না পারায় অসুস্থ রোগী বা মরদেহ বহন করতেও গ্রামবাসীকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। কৃষিপণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের স্কুলযাত্রা—সবক্ষেত্রেই দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী।
এলাকাবাসী জানান, বহু বছর ধরে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তার মাটি সরে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়, এরপর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। প্রায় ৫-৬ বছর আগে স্থানীয় অর্থায়ন ও চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন শিহাবের সহযোগিতায় কিছুটা সংস্কার হলেও তা ছিল সাময়িক।
গ্রামের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কাদা জমে যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্কুলে পৌঁছাতে না পেরে বাড়িতেই থেকে যায়। এতে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষকরা পর্যন্ত স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
রুস্তমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, “রাস্তা দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে সংস্কার করা হলেও বাজেট সংকটের কারণে নিয়মিত কাজ সম্ভব হয়নি। তবে আগামী বাজেট এলে রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।”
এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দও দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিনের অবহেলায় পড়ে থাকা এই রাস্তা সংস্কার এখন সময়ের জরুরি দাবি।
গ্রামবাসীর প্রত্যাশা—দুর্ভোগ নয়, উন্নত সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বস্তির যাতায়াত।
