জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় আল-ইসলাহ এর দুই প্রার্থী


নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ 

আগামী মার্চ মাসে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ঘোষণা আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছেন জকিগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

এই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে—ফলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে প্রস্তুতি ও যোগাযোগ তৎপরতা।

অন্যদিকে, ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আনজুমানে আল-ইসলাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জকিগঞ্জ উপজেলাতেও এখন নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন আল-ইসলাহ সিলেট মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এম. এ সবুর ও জকিগঞ্জ পৌর আল-ইসলাহ সভাপতি প্রিন্সিপাল কাজী হিফজুর রহমান।

মাওলানা এম. এ সবুর বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩নং ওয়ার্ড থেকে জেলা পরিষদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আলোচনায় আসেন। অন্যদিকে কাজী হিফজুর রহমান জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
লোকমুখে এখনো প্রচলিত, সেই নির্বাচনে তার নিশ্চিত জয় শাসকদলের প্রভাবে হাতছাড়া হয়; তখন মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী খলীল উদ্দিন।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে কাজী হিফজুর রহমানও প্রার্থী হতে পারেন—এমন গুঞ্জন জোরালো। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা এম. এ সবুরকে চেয়ারম্যান এবং কাজী হিফজুর রহমানকে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে, জানিয়েছেন জকিগঞ্জ আল-ইসলাহর একজন দায়িত্বশীল নেতা।

মাওলানা এম. এ সবুর অনেকদিন ধরেই মাঠে সক্রিয় আছেন। তাঁর বড়ভাই হাজী বুরহান উদ্দিন সুলতানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তবে এবার তিনি প্রার্থী হলে তার সঙ্গে ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হতে পারেন তার মামাতো ভাই, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা ইকবাল আহমদ তাপাদার।

বিগত দিনে বিএনপি নেতা ইকবাল আহমদ আল-ইসলাহ তথা ফুলতলী ঘরানার কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পেলেও এবার আল-ইসলাহের নেতাকর্মীরা ছাড় দেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, গত সংসদ নির্বাচনে মহাজোটকে সমর্থন দেওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর লেখালেখি হওয়ায় ফুলতলী মসলকের অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।

এছাড়া ভোটের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আল-ইসলাহ সদস্য হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ও সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাওলানা আফতাব আহমদ।

তবে শেষ পর্যন্ত মাওলানা এম. এ সবুর বা কাজী হিফজুর রহমান প্রার্থী হলে বিজয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। কারণ, দু’জনেরই রয়েছে পূর্ববর্তী নির্বাচনী অভিজ্ঞতা ও জনসম্পৃক্ততা। পাশাপাশি সংগঠনগতভাবেও বর্তমানে জকিগঞ্জ উপজেলায় আল-ইসলাহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।


3মন্তব্যসমূহ

নবীনতরপূর্বতন